প্রোটিন সংশ্লেষ

জীববিজ্ঞান - জীববিজ্ঞান প্রথম পত্র - প্রোটিন সংশ্লেষ

প্রোটিন সংশ্লেষঃ ট্রান্সক্রিপশন ও ট্রান্সলেশন
(Protein Synthesis - Transcription and Translation): বিশ ধরনের অ্যামিনো এসিড নিয়ে বিভিন্ন প্রোটিন গঠিত। অ্যামিনো এসিডগুলো পরস্পর পেপটাইড লিঙ্কেজ (—CO-NH) দিয়ে যুক্ত থাকে। এ কারণে প্রোটিনকে পলিপেপটাইড শৃঙ্খল-ও বলে। অধিকাংশ জীবকোষে প্রোটিন সংশ্লেষ ঘটে DNA-র নির্দেশে। কিন্তু যে সব কোষে DNA অনুপস্থিত সে সব ক্ষেত্রে জেনেটিক RNA প্রোটিন সংশ্লেষ পরিচালনা করে । কি ধরনের প্রোটিন গঠিত হবে তা পূর্ব নির্ধারিত থাকে এবং এ নির্দেশ আসে DNA পলিনিউক্লিওটাইড শৃঙ্খল থেকে। DNA যখন প্রতিলিপি গঠন করে তখন DNA থেকে RNA উৎপন্ন হয়। এ RNAগুলো কোন জিন বহন করে। না। এদের ননজেনেটিক RNA বলে। এগুলো কয়েক ধরনের। যেমন-tRNA (transfer RNA), mRNA (Messenger RNA) এবং rRNA (ribosomal RNA)। এ সব RNA প্রোটিন সংশ্লেষে অংশ গ্রহণ করে । mRNA ও RNA সরাসরি প্রোটিন সংশ্লেষে অংশ নেয় কিন্তু rRNA রাইবোজোমের মধ্যে থেকে তার দেহের সাথে যুক্ত হয়ে প্রোটিন সংশ্লেষে অংশ গ্রহণ করে। mRNA এবং tRNA প্রোটিন গঠনে কিভাবে অংশগ্রহণ করে তা জানা গেলেও rRNA-র ভূমিকা সম্বন্ধে বিস্তারিত জানা যায়নি। mRNA ও RNA-এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট mRNA একটি নির্দিষ্ট ধরনের প্রাটিন উৎপন্ন করতে পারে এবং একটি নির্দিষ্ট tRNA একটি নির্দিষ্ট অ্যামিনো এসিড বহন করতে পারে

DNA-র একটি ক্ষুদ্র খন্ডকে জিন বলে। নির্দিষ্ট প্রোটিন সংশ্লেষের মাধ্যমে জিন কোষের বিভিন্ন কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। প্রোটিন সংশ্লেষ প্রক্রিয়া দুটি ধাপে বিভক্ত। প্রথম ধাপটি ট্রান্সক্রিপশন (অনুলিপি) এবং দ্বিতীয় ধাপটিকে ট্রান্সলেশন (অনুবাদ) বলে।

ক. প্রথম ধাপ – DNA থেকে RNA গঠন এবং 
খ.  দ্বিতীয় ধাপ-mRNA থেকে পলিপেপটাইডশৃঙ্খল গঠন।
RNA ট্রান্সক্রিপশন → mRNA. ট্রান্সলেশন সংশ্লেষন প্রোটিন (পলিপেপটাইড শৃঙ্খল)

জীববিজ্ঞানের কেন্দ্রীয় প্রত্যয় বা সেন্ট্রাল ডগমা (Central Dogma of Biology) : রেপ্লিকেশন, ট্রান্সক্রিপশন ও ট্র্যান্সলেশন এর মাধ্যমে DNA, RNA ও প্রোটিন এর মধ্যে একটি সম্পর্ক বিদ্যমান। সেটি হচ্ছে- এদের একটি থেকে অন্যটির উৎপাদন। অর্থাৎ 
*DNA থেকে RNA উৎপাদন,
*RNA থেকে প্রোটিন উৎপাদন এবং 
*প্রোটিন (এনজাইম) দ্বারা DNA ও RNA উভয়ের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ । 
এ ধারণা বা প্রত্যয়টি জীববিজ্ঞানের একটি মৌলিক প্রত্যয় (Dogma)। এজন্য এ প্রত্যয়কে জীববিজ্ঞানের কেন্দ্রীয় প্রত্যয় বা সেন্ট্রাল ডগমা বলে । ওয়াটসন (J.D. Wastson কর্তৃক ১৯৫৮ সালে প্রস্তাবিত এ কেন্দ্রীয় প্রত্যয়টিকে ১৯৬৮ সালে বেরী কমনার (Barry Commoner) চাক্রির (cyclic) রূপ দান করেন।

 

Content added || updated By
Promotion